ষড়যন্ত্র ও হয়রানি থেকে বাঁচতে মা ও নানার পরিবারের বিরুদ্ধে এক কলেজ শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলন করেছে।ঐ শিক্ষার্থীর নাম সাদিয়া নওশাদ একা।তিনি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের নওশাদ আলীর মেয়ে।
১৪ আগষ্ট (সোমবার) বিকাল ৪ টায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত জুলাই মাসের ২৭ তারিখে সাংসারিক বনিবনা না হওয়ায় বাবা নওসাদ আলী ও মা দিলারা খাতুনের মধ্যে তালাক হয়।তালাকের পর আমাকে (মেয়ে) দখলে নিতে বাবা ও মা এর মধ্যে চরম বাকবিতন্ডা হয়।কিন্তু আমি আমার বাবার সাথে থাকার কথা জানালে আমার উপর চরম অত্যাচার করে মা দিলারা খাতুন ও নানার পরিবার।এক পর্যায়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে।তারপরও আমাকে দখলে নিতে ব্যর্থ হলে আমার মা দিলারা খাতুন বাদী হয়ে গত ১২ আগষ্ট ২৩ তারিখে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।সেই অভিযোগে বলা হয়েছে আমাকে অপহরন করেছে আমার বাবার পরিবার।যেটা সম্পুর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
বাবা ও মা এর মধ্যে তালাক হওয়ায় আমার মা, খালা,মামাতো ভাইবোন আমার বাবার থেকে একটি ফ্ল্যাট বাড়ি ও নগদ দশ লাখ টাকা দাবি করে।আমি আমার বাবার সাথে থাকতে চাইলে তারা আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে এসময় বাড়ি হতে ৫০/৬০ ভরি স্বর্ণালংকার, দুই লাখ টাকা মূল্যের স্যামসাং এস ২২ আল্ট্রা মডেলের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায় যা আমাদের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে পাওয়া যাবে।ঘটনার পর থেকে আমার ও আমার বাবার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে আমার মা এর পরিবার। যা অত্যন্ত নিন্দিনীয়।আমার বাবা ব্যবসায়ীক কাজে দেশের বাইরে থাকার কারনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।আমি আপনাদের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই আমি আমার বাবার সাথে থাকতে চাই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।